Friday, 05 December 2025, 07:02 PM
-
Super Admin
-
Apr 10, 2025
-
0
-
1 min read
-
Last Updated At : Dec 04, 2025
নদীতে লুটপাট
ডেস্ক রিপোর্টঃ
সুনামগঞ্জের
ধোপাজান চলতি নদী বালু
মহাল দীর্ঘ বছর ধরে
ইজারা বন্ধ থাকলেও থেমে
নেই বালু উত্তোলন কার্যক্রম। এই
ধোপাজান বালু মহাল থেকে
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ নানান
অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সাবেক পুলিশ
সুপার আফম আনোয়ার হোসেন,সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার
ওসি নাজমুল ইসলাম, এসআই
রাব্বিসহ অনেককে ক্লোজড করা
হয়েছে। অবৈধভাবে
বালি উত্তোলন পাড়কাটা ও বালি পরিবহন
নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ফুসে
উঠছে। এক
পক্ষ বালু উত্তোলনের পক্ষে
আরেক পক্ষ বালি উত্তোলন
বন্ধের দাবী জানিয়ে আসছে। বর্তমান
অর্ন্তবতী সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারকরা
ইজারাকৃত পাথর ও বালু
মহাল খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়
থেকে ইজারা বন্দোবস্ত দেয়ার
প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও ৫
আগষ্টের পর থেকে স্থানীয়
বালু খেকো চক্রের সদস্যরা
যেনতেন ভাবে বালু উত্তোলনে
মরিয়া হয়ে উঠছে।
তবে পুলিশের কিছু অসৎ সদস্য
ও কিছু নামধারী সাংবাদিকও
এই অপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে
বলে স্থানীয়দের দাবী। শহরের
গুরুত্বপূর্ণ বড়পাড়া সুরমা নদীর
তীরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন
বসিয়ে খেলার মাঠ ভরাটের
অনুমোদন পেয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা
চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা
প্রশাসকের কাছ থেকে স্কুলের
খেলার মাঠ ভরাটের নামে
অনুমতি এনেছি চলছে
রমরমা বালু বানিজ্য, ফায়দা লুটছে আওয়ামীলীগের
দোসর সহ স্থানীয় একটি
বালু সিন্ডিকেট চক্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়পাড়া মহল্লার একজন
স্থায়ী বাসিন্দা জানান, আওয়ামীলীগের সময়ে
যারা বালু লুট করে
ব্যবসা করে জিরো থেকে
হিরো হয়েছেন তারাই অর্ন্তবর্তী
সরকারের আমলে সুরমা নদী
থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কোটি
টাকার বালু বিক্রি করছে। । নদীর
তীরে বিশাল বালুর ডাম্পিং
করে রেখেছে। তাদের
ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ
করার সাহস পায় না। স্থানীয়
পুলিশ ও ভুমি অফিসের
কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ
করে এইসব অবৈধ কাজ
চালিয়ে যাচ্ছে। এদের
বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া
দরকার।
সুনামগঞ্জ
সদর মডেল থানার ওসি
আবুল কালাম জানান, স্কুলের
মাঠ ভরাটের জন্য জেলা
প্রশাসকের অনুমোদন সাপেক্ষে সুরমা নদী থেকে
পলি মাটি উত্তোলন করা
হচ্ছে। তবে
ধোপাজান কিংবা সুরমা নদীর
বালু উত্তোলন করার কোন সুযোগ
নাই। যারা
বালু উত্তোলন করে টেক করছে
তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া জানান, শহরের একটি স্কুলের মাঠ ভরাটের জন্য পলি মাটি উত্তোলনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কেউ বালু উত্তোলন করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।